সরকার গঠন নিয়ে অচলাবস্থা শেষে প্রবীণ বিরোধী দলীয় নেতা আনোয়ার ইব্রাহিমকে মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটির ১০তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেবেন তিনি।
মালয়েশিয়ার রাজা সুলতান আনোয়ার ইব্রাহিমকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার দিকে তিনি শপথ নিবেন।
কিং প্যালেস থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘রয়্যাল হাইনেস মালয় শাসকদের মতামত বিবেচনা করার পর, আনোয়ার ইব্রাহিমকে মালয়েশিয়ার দশম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন। ’
কিং প্যালেস থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘রয়্যাল হাইনেস মালয় শাসকদের মতামত বিবেচনা করার পর, আনোয়ার ইব্রাহিমকে মালয়েশিয়ার দশম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন। ’
গত ১৯ নভেম্বর মালয়েশিয়ায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি এবং দেশটি তার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নজিরবিহীন ভাবে ঝুলন্ত সংসদের সাক্ষী হয়। এরপর জোট করে সরকার গঠনের জন্য আহ্বান জানান দেশটির রাজা সুলতান আবদুল্লাহ। । তবে এতেও অচলাবস্থা কাটে না। কারণ কোনো দলই জোট করে সরকার গঠনে আগ্রহী ছিল না।
মালয়েশিয়ার সাধারণ নির্বাচনে আনোয়ার ইব্রাহিমের পাকাতান হারাপান (পিএইচ) জোট ২২২ আসনের পার্লামেন্টে সবচেয়ে বেশি ৮২ আসন পেয়েছে। নির্বাচনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিনের পেরিকাতান ন্যাসিওনাল (পিএন) জোট পেয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৩ আসন ও ক্ষমতাসীন জোট বারিসান ন্যাসিওনালের (বিএন) পেয়েছে ৩০ আসন। সরকার গঠনে যেকোনো দল বা জোটের প্রয়োজন ১১২ আসন।
১৯৯৩ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ এই পাঁচ বছর আনোয়ার ইব্রাহিম মালয়েশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী ছিলেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথিরের উত্তরসূরী হওয়ার কথা ছিল তারই। কিন্তু ১৯৯৮ সালে দুর্নীতি ও সমকামিতার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় উপপ্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে আনোয়ারকে বরখাস্ত করেন মাহাথির। তাকে রাজনীতিতেও নিষিদ্ধ করেন আদালত। পরে উচ্চ আদালতে আপিল করে ২০০৮ সালে নির্দোষ হিসেবে মুক্তিলাভ করেন আনোয়ার; রাজনীতি করার অধিকারও ফিরে পান তিনি। আপিলে প্রমাণিত হয়- তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল। কারাগার থেকে মুক্তিলাভের পর এতদিন পর্যন্ত মালয়েশিয়ার প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন আনোয়ার ইব্রাহিম।